শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

এসইও করার ক্ষেত্রে ১০ টি আবশ্যিক টিপস


undefined
আসলামুয়ালাইকুম,
কোন রকম ভূমিকা ছাড়াই আজ লিখতে যাচ্ছি এসইও অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন নিয়ে একটি পোস্ট। আশা করি যারা এসইও -তে নতুন কিংবা আপনার ব্লগ/সাইটের জন্য এসইও করার প্রস্তুতি নিয়েছেন তাদের জন্য অন্তত কিছু বিন্দু কাজে আসবে। একটি ব্লগ বা ওয়েব সাইট এর ভিজিটর বাড়াতে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) এর বিকল্প নেই। ঠিক নেই বললে ভুল হবে কিনা জানিনা। আমার জানামতে নেই। হাজারও উপায়ের মাঝে এসইও সবচেয়ে বেশি কার্যকরী উপায় হওয়ার কারণ হল সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে ৮০% ভিজিটর দিয়ে থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এসইও এর গুরুত্ব কত টা ! যাই হোক আমি আজ এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব না। আল্লাহ আমাকে সুস্থ রাখলে ধীরে ধীরে সব কিছুই লেখার চেষ্টা করব। তবে আজ আমি এসইও করার ক্ষেত্রে আবশ্যিক ১০ টি টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব। প্রতিটা টিপসই আপনার সাইটের এসইও করার সময় মাথায় রাখতে হবে এবং সেই মোতাবেক কাজ করতে হবে। তাহলে দেরি কেন? চলুন নিয়ে নিন ব্লগার মারুফের আজকের ১০ টি গরম এবং চরম উপকারি এসইও টিপসঃ
১. ইউনিক কন্টেন্টঃ
আপনার ব্লগ বা ওয়েব সাইটের সকল কন্টেন্টই আপনার সাইটের প্রাণ। কথাটা সামান্য ভুল! আসলে কন্টেন্ট থাকলেই চলবেনা। চাই ১০০% ইউনিক কন্টেন্ট। সব ভিজিটর এবং সার্চ ইঞ্জিনই চায় ইউনিক কন্টেন্ট পেতে। কিন্তু এই কপি পেস্টের জগতে ইউনিক কন্টেন্ট এর বড়ই অভাব। এখানে আপনাকে জোর গুরুত্বসহকারে বলতে চাই, আপনার সাইটে ইউনিক কন্টেন্ট ছাড়া কপি পেস্ট পোস্টের জন্য এসইও করে বিন্দু মাত্র লাভবান হবেন বলে আমার মনে হয়না ! তাই নিশ্চই বুঝতেই পেরেছেন ইউনিক কন্টেন্টের গুরুত্ব। তাই আবারো বলছি, আপনার যদি ইউনিক কন্টেন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি এসইও যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। ব্লগার মারুফ আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছে যে আপনি এসইও যুদ্ধে অন্তত বিফল হবেন না। কিন্তু যদি আপনার ইউনিক কন্টেন্ট না থেকে থাকে তাহলে বলতে চাই, আপনি বাকি পোস্ট পড়ার আগে ইউনিক কন্টেন্ট লিখে তারপর এসইও যুদ্ধে নামেন। অন্যথায় আপনার সব শ্রমই পণ্ডশ্রমে পরিণত হবে।
২. ব্লগ কমেন্টের মাধ্যমে শক্তিশালী ব্যাকলিংক তৈরি করুনঃ
আপনাকে আপনার ব্লগ এবং পোস্টের প্রচারনার জন্য বিভিন্ন ব্লগে কমেন্টে লিংক দিতে পারেন। তবে এখানেও কিছু কথা আছে। শুধু না বুঝে কমেন্ট করা পাগলামি করা ছাড়া কিছু হবেনা। আপনাকে আপনার ব্লগ সম্পর্কিত ব্লগে প্রাসঙ্গিক কমেন্ট করতে হবে। ধরুন, আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ব্লগ বা ওয়েব সাইট হলে আপনাকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সাইটে কমেন্টের মাধ্যমে ব্যাকলিংক অর্জন করতে হবে। এতে অন্য ব্লগের তুলনায় এই ব্লগের ব্যাকলিংক আপনার অধিকতর কাজে লাগবে। আপনার কমেন্ট অবশ্যই প্রাসঙ্গিক এবং বুদ্ধি খাটিয়ে দিতে হবে। অযথাই যেখানে সেখানে কমেন্ট করলে স্পামিং হিসেবে চিহ্নিত হবেন। তাই বুঝে শুনে কমেন্ট করবেন।
৩. সোশ্যাল শেয়ারঃ
সার্চ ইঞ্জিন এর পর আপনার দ্বিতীয় ভিজিটর সোর্স হল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটসমূহ। এসব সাইটে আপনার পোস্ট বা কন্টেন্ট শেয়ার করে প্রচুর পরিমান ভিজিটরসও পাবেন সাথে এসইও এর ক্ষেত্রেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখেব। তাই সাইটে সোশ্যাল শেয়ার বাটন যুক্ত করুন। এতে আপনি ভিজিটরসদের পাশাপাশি আপনি নিজেও শেয়ার করতে পারবেন।
৪. ডোমেইন নেমঃ
প্রথমত বলে রাখি, আপনার সাইটের সাথে ডোমেইন নেমের সঙ্গতি এবং সামজ্জসতা থাকতে হবে। অনেক ব্লগ বা সাইট দেখেছি যাদের ডোমেইন নেমের সাথে ব্লগের কোন মিল নেই। যা মোটেও এসইও সহায়ক কাজ নয়। এতে ভিজিটরসদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আপনার সাইট বা ব্লগের বিষয়ের উপর ভিত্তি করে একটি সুন্দর ডোমেইন নেম ব্যবহার করুন।
৫. তথ্যাবলির কার্যকারিতাঃ
আপনার সাইটের প্রতিটা প্রদত্ত তথ্য আপনার ভিজিটরসকে বিবেচনায় রেখে প্রদান করতে হবে। ভিজিটরস খুশি তো সব ফিট। আপনার ভিজিটরস আপনার প্রদত্ত কন্টেন্ট এবং যাবতীয় তথ্য পেয়ে উপকৃত হলে আপনার অর্জন দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
৬. পোস্ট ইমেজের টাইটেল, বিকল্প নাম, ক্যাপশনঃ
আপনার ব্লগ পোস্টের প্রতিটা ছবির শিরোনাম (টাইটেল), বিকল্প শিরোনাম (অল্টার) এবং ক্যাপশন দিতে হবে। এতে সার্চ ইঞ্জিন সহজেই আপনার ইমেজ বুঝতে পারে।
৭. নিয়মিত আপডেটঃ
আপনার সাইট সর্বদা আপটুডেট হতে হবে। ব্লগ বানিয়ে বা এসইও করে ভালো ফলাফল অর্জন করে ফেলে রাখলে আপনার অর্জন তৎক্ষণাৎ ভূমিসাৎ হয়ে যাবে। একটি ভাবসম্প্রসারন আছে,”স্বাধীনতা অর্জনের চাইতে রক্ষা করা কঠিন” । ঠিক তেমনই, ভালো র‍্যাংক পেয়ে আপনার কাজ শেষ নয়। সেই র‍্যাংক ধরে রাখার জন্য আপনার সাইট নিয়মিত আপডেট রাখতে হবে।
৮. হাই কোয়ালিটি কি-ওয়ার্ডসঃ
আপনার এসইও এর ক্ষেত্রে অন্যতম একটি ধাপ হল কি-ওয়ার্ড নির্বাচন। আপনাকে সঠিক, কার্যকরী কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করে তা সাইটে দিতে হবে। এজন্য কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করা প্রয়োজন।
৯. ওয়েবমাস্টারঃ
সার্চ ইঞ্জিনগুলোর ওয়েব মাস্টারে আপনার সাইত/ব্লগ ভেরিফায়েড করে সেখানে নিয়মিত সাইটম্যাপ সাবমিট করতে হবে সাথে ওয়েবমাস্টার থেকে অন্যান্য প্রাপ্ত তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
১০. শুধু সার্চ ইঞ্জিনই নয়, “ভিজিটরসের সন্তুষ্টি” চূড়ান্ত শব্দঃ
সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে অবস্থান করলেই চলবে না। এর জন্য প্রয়োজন সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রাপ্ত ভিজিটরসদের সর্বাধিক সন্তুষ্টি অর্জন করাই হল চূড়ান্ত কাজ। আপনার যাবতীয় কাজে যদি আপনার ভিজিটরস সন্তুষ্ট হয় তবেই আপনি সার্থক এবং সফল এসইও এর যুদ্ধে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন